আঞ্চলিক ভূগোল ( B.A )

অসম উপত্যকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা কর।

অসম উপত্যকা : অসম উপত্যকা তথা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ভারতের বৃহৎ সমভূমির পূর্বদিকের এক বর্ধিত অংশ বিশেষ। এই উপত্যকার দৈর্ঘ্য ৭২০ কিমি প্রস্থ ৮০ কিমি। নিম্নে সংক্ষেপে প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করা হল-

অসম উপত্যকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য –

অসম উপত্যকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা কর।
  • (i) সমগ্র অসম উপত্যকা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ও বরাক উপত্যকা নিয়ে গঠিত।
  • (ii) উপত্যকা অঞ্চলটি উত্তর-পূর্ব দিক থেকে পশ্চিমে ঢালু।
  • (iii) এই অঞ্চলের গড় উচ্চতা 130 মি (পূঃ), পশ্চিমে 30 মিটার।
  • (iv) উপত্যকাটি 150 মিটার সমোন্নতি রেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
  • (v) পলি সঞ্চয়ের কারণে এই উপত্যকা মূলত গঠিত হয়েছে।
  • (vi) উপত্যকার মধ্যে প্রচুর অবশিষ্ট পাহাড় অবস্থিত (মোনাডনক)।
  • (vii) উপত্যকার দক্ষিণের অংশটি তুলনামূলকভাবে কম প্রশস্থ ও অমসৃণ।
  • (viii) এই উপত্যকার উত্তরাংশের মৃত্তিকা বেশি আর্দ্র, তরাই ভূমি গঠিত হয়েছে।
  • (ix) অসম উপত্যকার মধ্যে অসংখ্য বিল অবস্থিত, কিছু কিছু স্থানে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদও অবস্থিত।
  • (x) পৃথিবীর বৃহত্তম নদী দ্বীপ ‘মাজুলী’ (929 বর্গকিমি) গঠিত হয়েছে।
  • (xi) এই উপত্যকা অতিমাত্রায় ভূমিকম্পপ্রবণ। বহুবার বিধ্বংসী ভূমিকম্প এখানকার নদীগুলির গতিপথকে পরিবর্তিত করেছে, নদীতে বাঁধ তৈরী হয়েছে (1950 সালের ভূমিকম্প এর উদাহরণ)।
  • (xii) ব্রহ্মপুত্র নদ এখানকার প্রধান নদী তাই এই উপত্যকার অপর নাম ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা। যদিও 2900 কিমির মধ্যে ব্রহ্মপুত্র এখানে মাত্র 885 কিমি।
  • (xiii) এই উপত্যকার মধ্যে ব্রহ্মপুত্রের 35টির বেশি উপনদী রয়েছে, যার কয়েকটি বেশ প্রশস্ত।
  • (xiv) বেশিরভাগ নদী এখানে ক্ষয়ধর্মী। প্রতি বছর নদীর পাড় ভাঙে, যা উপত্যকার নিম্নাংশে পলল সঞ্চয়ের দ্বারা উপত্যকার প্রসার ঘটায়।
  • (xv) অসম উপত্যকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য উচ্চ পার্বত্য এলাকা অতিমাত্রায় ধ্বসপ্রবণ।
  • (xvi) এই উপত্যকার জলবায়ু গঙ্গা উপত্যকার চেয়ে পৃথক। কুয়াশা, ঝড়, ধুলোযুক্ত বায়ু এই উপত্যকার স্থানীয় বৈশিষ্ট্য। কখনো কখনো বিশেষ করে শীতকালে একটানা 60-70 দিন কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ থাকে।
  • (xvii) প্রতিবছর বসন্তের প্রারম্ভে এই উপত্যকায় ঝড়ের আবির্ভাব ঘটে। উপত্যকার উঃ পূঃ দিকে প্রায় 100 দিন এই প্রবণতা থাকে।
  • (xviii) এই অঞ্চলের ঋতুবৈচিত্র্য চারভাগে ভাগ করা হয়- (a) শীতকাল, (b) গ্রীষ্মকাল/বসন্তের প্রারম্ভকাল, (c) বসন্তকাল, (d) বিলম্বিত বসন্তকাল।
  • (xix) এখানকার মাটি মূলত পলি মৃত্তিকা যুক্ত। নবীন ও প্রাচীন পলি মৃত্তিকার সঙ্গে সঙ্গে ল্যাটেরাইট মৃত্তিকাও লক্ষ্য করা যায়।
  • (xx) এই উপত্যকায় তেমন কোনো খনিজ সম্পদ নেই। উচ্চ উপত্যকায় দেশের সঞ্চিত তেলের 50% সঞ্চিত আছে। ভারতের প্রাচীন তৈলখনি এখানেই অবস্থিত।
  • (xxi) এই উপত্যকায় চিরসবুজ গাছ রয়েছে।

====>>> ব্রায়োফাইটার (Bryophyta) অর্থনৈতিক গুরুত্ব

RANI250

My name is Rani Biswas, a web designer with six years of experience and the owner of dishacoachingcentre.com, a dedicated educational platform offering high-quality learning resources.

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button