আঞ্চলিক ভূগোল ( B.A )
জলবায়ু অঞ্চল (Climatic Region) কাকে বলে ? জলবায়ু অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

জলবায়ু অঞ্চল (Climatic Region) : পৃথিবীর উপাদানগুলি, যেমন- উয়তা, বৃষ্টিপাত, বায়ুর চাপ, বায়ুর কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে যখন আবহাওয়া ও জলবায়ুর মূল আর্দ্রতা, বাষ্পীভবন, বায়ুর গতিবেগ, মেঘাচ্ছন্নতা প্রভৃতির বৈশিষ্ট্য বা প্রকৃতি সুদীর্ঘকাল ধরে প্রায় সমধর্মী হয়, তাকে জলবায়ু অঞ্চল বলে। যেমন- মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চল, ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল, তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চল প্রভৃতি।
জলবায়ু অঞ্চলের প্রকৃতি/বৈশিষ্ট্য –

পৃথিবীর প্রতিটি জলবায়ু অঞ্চলের নিম্নলিখিত প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, যেমন-
- সীমা : পৃথিবীর প্রতিটি জলবায়ু অঞ্চল বৃহৎভাবে বিস্তৃত। তবে জলবায়ু অঞ্চলগুলি কোনো দৈশিক সীমানা মান্য করে না।
- পৃথকীকরণ : দুটি জলবায়ু অঞ্চলকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করা যায় না। একটি জলবায়ু অঞ্চল ধীরে ধীরে অন্য একটি জলবায়ু অঞ্চলে মিশে যায়।
- নিয়ন্ত্রক : প্রতিটি জলবায়ু অঞ্চল উন্নতা, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ, বাষ্পীভবন, মেঘাচ্ছন্নতা প্রভৃতির দীর্ঘকালীন ভারসাম্য দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
- উপঅঞ্চল : একটি বৃহৎ জলবায়ু অঞ্চলের মধ্যে অনেকগুলি ছোটো ছোটো উপঅঞ্চলের সৃষ্টি হতে পারে।
- রাজনৈতিক সীমানা : জলবায়ু অঞ্চলের কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক সীমানা থাকে না।
- মানুষের ওপর প্রভাব : জলবায়ু অঞ্চলগুলি মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে।
- উদ্ভিদ ও প্রাণী জগতের ওপর প্রভাব : জলবায়ু অঞ্চলভেদে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিভিন্নতা দেখা যায়। যেমন অ্যানাকোন্ডা শুধুমাত্র নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলেই দেখতে পাওয়া যায়।
====>>> পরিবেশগত পরিকল্পনার উদ্দেশ্য




