আঞ্চলিক ভূগোল ( B.A )
ভারতে আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের কারণ কী ?

আর্থ-সামাজিক বৈষম্যে : ভারতবর্ষ হল পৃথিবীর মধ্যে বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এই দেশের প্রায় ৭০% মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে (২০১১) ভারতের লোকসংখ্যা প্রায় ১২১ কোটি। জনসংখ্যার দিক দিয়ে চীনের পর ভারতের স্থান (দ্বিতীয় স্থানে)। এই বিপুল জনবহুল দেশের আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের মূল কারণগুলি হল-
ভারতে আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের কারণ –

- (ক) অশিক্ষা ও কুসংস্কার : দেশের প্রায় ৩০-৩৫% মানুষ এখনও পর্যন্ত শিক্ষার আঙ্গিনায় আসেনি ফলে কুসংস্কারও তাদের মনন জগতে বদ্ধমূল হয়ে বিরাজমান। ফলস্বরূপ তারা আর্থিক দিক থেকে সমাজের অন্যের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়তে দেখা যায়। কোল, ভীল, মুন্ডা, সাঁওতাল প্রভৃতি পিছিয়ে পড়া জাতিরা আজও আর্থ-সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে আছে।
- (খ) কৃষির উপর অত্যাধিক নির্ভরতা : দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এই কৃষি আবার বেশিরভাগ মৌসুমী বায়ুর উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে। ফলে মৌসুমী বায়ুর অনিশ্চয়তা বৃষ্টির উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে যা কৃষির উপর নির্ভরশীল মানুষের আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- (গ) শ্রেণি বিভাজন : স্মরণাতীত কাল থেকে শ্রেণি বিভাজন (ব্রাহ্মণ, ক্ষৈত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র) বর্তমান কালেও আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের প্রধান কারণ। বর্তমানে বৈশ্য ও শুদ্ররা এখনও পিছিয়ে পড়া জাতি হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত। যদিও সরকারী নানা প্রকল্প এই পিছিয়ে পড়া জাতিদের সাহায্যার্থে রূপায়ন হলেও সঠিক পরিষেবার অভাবে তা সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। যা সামাজিক বৈষম্যের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
===>>> ভাইরাসঘটিত রোগের বিস্তার




