ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কিছুদিন আগেই ২০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছেন। দেশে ৩০ শে সেপ্টেম্বর থেকে ২০০০ টাকার নোট বাতিল হতে চলেছে। এই সময়ে বাজারে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার ২০০০ টাকার নোট রয়েছে। অনেকদিন আগেই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। বর্তমানে যাদের কাছে দুহাজার টাকার নোট আছে তারা ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত এই নোট বদলানোর সুযোগ পাবেন।
অর্থাৎ ৪ মাস সময় দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। যাদের কাছে বর্তমানে ২০০০ টাকার নোট আছে তাদের ব্যাঙ্ক থেকে বদলাতে হবে। তবে একদিনে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ২ হাজারের নোট ব্যাঙ্কে বদলাতে পারবেন। আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস নোট পরিবর্তন নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য জনগণের কাছে আবেদন করেছেন। মানুষের কাছে ৪ মাসের বেশি সময় আছে তারা সহজেই যে কোনো শাখায় গিয়ে ২ হাজার টাকার নোট বদলাতে পারেন।
আরও পড়ুন – তবে কি উঠে যাবে মাধ্যমিক পরীক্ষা ? শুরু হবে নতুন শিক্ষা নীতি।
500 টাকার নোট নিয়ে RBI কি বললেন?
২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করার ঘোষণার পর এবার ৫০০ টাকার নোট নিয়ে বড় খবর আসছে। ৫০০ টাকার নোটের চাহিদা বাড়ায় বাজারে ও ব্যাঙ্কে এর ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আর ঘাটতি হবার কথাই কারন বাজারে পড়ে থাকা সব থেকে বড়ো নোট পাঁচশো টাকা। আরবিআই এই ঘাটতির জোগান প্রস্তুত না করে রাখলে অর্থনীতি আবার হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে।
তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে ৫০০ টাকার নোটের সরবরাহ বাড়াতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) তাদের নোট ছাপানো ছাপাখানাকে নোট সরবরাহ ঠিক করতে দিনরাত কাজ করতে বলেছে। যাতে মানুষ পর্যাপ্ত ৫০০ টাকার নোট পেতে পারে। দুই হাজার টাকার নোট তুলে নিলে বাজারে ৩.২ ট্রিলিয়ন ডলারের ঘাটতি তৈরি হতে চলেছে। তাই বর্তমানে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেবল ৫০০ টাকার নোট ছাপানোর দিকেই নজর দিয়েছে।
কয়টি নোট ছাপানো মেশিন আছে এবং কত ঘন্টা করে কাজ চলছে?
রিজার্ভ ব্যাংকের তরফে চারটি টাকা ছাপার মেশিনে নোট ছাপার কাজ চলছে। এর মধ্যে দুটি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিজেই নিয়ন্ত্রণ করে আর দুটি কেন্দ্র সরকার। এই টাকা ছাপানোর কাজ ২২ থেকে ২৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে। আর বর্তমানে তারা পাঁচশো টাকা নোটের ছাপানোরই কাজ করে চলেছে।
২০১৬ সালে যখন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তখন সারা দেশে রীতিমতো হাহাকার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। কারন এক রাতের মধ্যেই সেই নোট বাতিলের খবর এসে পৌছায় সাধারণ জনগণের কাছে। ব্যাঙ্কে টাকা জমা করতে গিয়ে জনগণকে হয়রানি হতে হয়েছে।
আগের বারের মতো এবারও যাতে জনগণকে কোনো রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়, তাই এইবার আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে তারা আগে থেকেই ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা পরিবর্তন করতে পারে। সাধারণ মানুষও তাই হাতে সময় নিয়ে নোট পরিবর্তন করে নিচ্ছে। আর ব্যাঙ্কগুলিও কোনো রকম শর্ত ছাড়াই সেই টাকা পরিবর্তন করে দিতে বাধ্য।
আরও পড়ুন – LIC investment – মাত্র ৪৫ টাকা বিনিয়োগে মিলবে ২৫ লাখ রিটার্ন! এক্ষুণি ইনভেস্ট করুণ এই পলিসিতে।