Krishak Bandhu Prakalpa – বাংলার মানুষের সার্বিক উন্নয়নের কথা ভেবে এক গুচ্ছ প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই এক গুচ্ছ প্রকল্পের মধ্যে জনপ্রিয় দুটি প্রকল্প হচ্ছে কেন্দ্র সরকারের পিএম কিষান যোজনা এবং রাজ্য সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu Prakalpa). এই প্রকল্প দুটির মাধ্যমে কৃষকদের অর্থ সহায়তা করা হয়, যাতে ফসলের মান ঠিক রাখতে কৃষকরা যথাযত ব্যবস্থা নিতে পারেন। এই দুটি প্রকল্প থেকেই রাজ্যের চাষীরা প্রতিবছর ব্যাপক সুবিধা পায়।
ভারত কৃষিভিত্তিক দেশ এবং এই কৃষির উন্নয়ন ও উৎপাদনের গতিশীলতার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা অন্যান্য কারনে ফসলের ক্ষতি হলে তার মূল্য কৃষককেই মেটাতে হয়। আবার অনেক সময় এমনও হয় যে কৃষকরা তাদের ক্ষতির পরিমাণ সামাল দিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। ভারতের মত কৃষি প্রধান দেশে এমন নির্মমতার সাক্ষ্য অনেক রয়েছে। তাই সারা দেশের কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ভারত সরকার এই উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ (Krishak Bandhu Prakalpa) গ্রহন করেছে।
আরও পড়ুন – Unemployment Allowance – শিক্ষিত বেকারদের জন্য সুখবর ! পাবেন প্রতিমাসে ২৫০০ টাকা, দেবে সরকার।
এই প্রকল্পগুলির (Krishak Bandhu Prakalpa) লক্ষ কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করা এবং তাদের ফলন বাড়াতে সাহায্য করা। একজন কৃষক তার জমির জন্য সার বীজ কীটনাশক ইত্যাদি বিভিন্ন কৃষি সরঞ্জাম কিনে যাতে চাষাবাদে কাজে লাগাতে পারেন তার জন্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের এই ভাতা প্রদান করা হয়। তবে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য কৃষকদের জমির রেকর্ড থাকা প্রয়োজন।
Krishak Bandhu Prakalpa থেকে কত টাকা পাওয়া যায়?
কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu Prakalpa) এবং পিএম কিষান যোজনা বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। এই প্রকল্প দুটি থেকে পশ্চিমবঙ্গের বহু কৃষক পরিবার কৃষি ক্ষেত্রে বিপুলভাবে লাভবান হয়েছেন।পিএম কিষান যোজনার অন্তর্গত চাষীদের কেন্দ্র সরকার প্রতিবছর ৬ হাজার টাকা করে দেয়। আর অন্যদিকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অন্তর্গত চাষীদের রাজ্য সরকার বছরে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করে। এছাড়া ১৮ থেকে ৬০ বছরের কোনও চাষীর মৃত্যু হলে সেই পরিবারকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।
তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী এই প্রকল্পের সুবিধাগুলি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এপ্রসঙ্গে জানানো হয়েছে যে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu Prakalpa) টাকা পাওয়ার জন্য এবার একটি গুরুত্বপুর্ণ কাজ করতে হবে। এই গুরুত্বপুর্ণ কাজ না করলেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া এই কাজটা না করলে পিএম কিষানের ক্ষেত্রেও টাকাও বন্ধ হয়ে পারে বলে জানা যাচ্ছে। কি গুরুত্বপুর্ণ কাজ করতে হবে জেনে নিন।
এই দুই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে যে গুরুত্বপুর্ণ কাজ করতে হবে?
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu Prakalpa) অন্তর্গত চাষীদের এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে। জানা গিয়েছে যদি কোনও চাষীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট হয় তাহলে তার কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ কোনও চাষীর কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যদি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট হয় তাহলে তাকে শীঘ্রই একটি নতুন একক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
তারপর সেই নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আপডেট করতে হবে। তবে সরকারের তরফে এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। পিএম কিষানের আওতায় কৃষকরা এখন পর্যন্ত
২০০০ টাকা করে মোট ১৩ তম কিস্তির টাকা পেয়েছেন। পিএম কিষানের পরবর্তী কিস্তির টাকা আসার সময় হয়ে গেছে। খুব সম্ভবত এই মাসেই পিএম কিষানের ১৪তম কিস্তির ২০০০ টাকা দেওয়া হবে। অর্থাৎ কৃষকরা খুব শীঘ্রই পিএম কিষানের পরবর্তী কিস্তির টাকা পেতে চলেছেন।
আরও পড়ুন – New Job Card – ১৫ দিনেই নতুন জব কার্ড! কি ভাবে আবেদন করবেন জানুন।