NMMS Scholarship – ন্যাশনাল মিন্স-কাম-মেরিট স্কলারশিপ বা NMMS হল একটি কেন্দ্রীয় সরকারী স্কলারশিপ স্কিম। এটি সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার লক্ষ্যে শুরু করা হয়। NMMS প্রতি বছর 12,000 টাকা বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক স্তরে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করে।
2008 সালের মে মাসে শুরু করা হয় (NMMS Scholarship)। এই বৃত্তির লক্ষ্য হল সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের তাদের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা শেষ করতে তাদের অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য প্রতি বছর 9 থেকে 12 এর শিক্ষার্থীরা দুটি স্তরে এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। ন্যাশনাল মিন্স-কাম-মেরিট স্কলারশিপের টাকা পেতে হলে নির্বাচনী পরীক্ষার মাধ্যমে এটি গ্রহন করা যায়। শুধুমাত্র ভারতের বসবাসকারী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন – Student Tablet – উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের মিলবে ট্যাবের টাকা! কবে মিলবে দেখুন।
এই স্কলারশিপ (NMMS Scholarship) পেতে গেলে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন?
- যে প্রার্থীরা এই NMCM স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক তাদের অবশ্যই ক্লাস 8 পাশ করে ক্লাস 9-এ অধ্যয়নরত নিয়মিত ছাত্র হতে হবে ও কমপক্ষে 55% বা সমমানের গ্রেড থাকা আবশ্যিক।
- প্রার্থীদের অবশ্যই সরকারি/ স্থানীয় সংস্থা/ সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
- একাদশ শ্রেণীতে এ এই বৃত্তি অব্যাহত রাখার জন্য, প্রার্থীকে 10 শ্রেণীতে বোর্ড পরীক্ষায় কমপক্ষে 60% নম্বর পেতে হবে।
- 12 শ্রেণীতে বৃত্তি চালিয়ে যাওয়ার জন্য, বৃত্তি প্রদানকারীকে অবশ্যই 11 শ্রেণী থেকে প্রথম প্রচেষ্টায় 55% নম্বর বা সমমানের স্কোর সহ পাস করতে হবে। SC/ST শ্রেণীর ছাত্রদের জন্য, মার্কগুলিতে 5% শিথিলতা দেওয়া হয়।
- প্রার্থীদের বার্ষিক পারিবারিক আয় 1.5 লাখের বেশি হওয়া চলবে না।
- এছাড়াও প্রাইভেট স্কুলে কঠোরত ছাত্র-ছাত্রীরা এই স্কলারশিপের জন্য যোগ্য নন।
এই স্কলারশিপের (NMMS Scholarship) জন্য আবেদন করার পদ্ধতি –
- প্রথমত, আবেদনকারীদের সমস্ত সঠিক তথ্য পূরণ করে নতুন ব্যবহারকারী হিসাবে ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টালে (NMMS Scholarship) একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে।
- বৃত্তির জন্য আবেদনকারী প্রার্থীদের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার সময় তাদের সাথে সমস্ত প্রাসঙ্গিক নথির স্ক্যান কপি রাখা আবশ্যিক।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা, আধার কার্ড নম্বর,ব্যাঙ্কের বিবরণ এবং এড্রেস প্রুফের মতো তথ্য আবেদনকারী প্রার্থীকে দিতে হবে।
- এনএসপিতে নিবন্ধন করার পরে প্রার্থীর একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি দেয়া হবে। এই অ্যাপ্লিকেশন আইডি NSP-এ ‘লগইন আইডি’ হিসেবে এবং ভবিষ্যতের রেফারেন্সের জন্য ব্যবহার করতে হবে।
- যে আবেদনকারী 9 এবং 10 শ্রেণী অধ্যয়নরত তাদের প্রাক-ম্যাট্রিক বৃত্তি বিভাগের অধীনে আবেদন করতে হবে ও যারা 11 এবং 12 শ্রেণীতে অধ্যয়নরত,সেই প্রার্থীদেরকে পোস্ট ম্যাট্রিক বৃত্তি বিভাগের অধীনে আবেদন করতে হবে।
- আবেদনকারীর নাম, জন্ম তারিখ, ইমেল আইডি, শনাক্তকরণের বিশদ বিবরণ এবং মোবাইল নম্বরের মতো তথ্য ফর্ম ফিলাপের সময় তাদেরকে দিতে হবে এবং এগুলি দেওয়ার সময় ভালো করে লক্ষ্য রাখা আবশ্যিক।
- এরপর সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করুন এবং একটি ড্রাফট হিসাবে সেভ করুন।
- সমস্ত পূরণ করা তথ্য সঠিক এবং উপযুক্ত কিনা তা একবার দেখে নিয়ে সাবমিট বানানে ক্লিক করে আবেদন পত্রটি সাবমিট করে দিন।
আরও পড়ুন – Scholarship 2023 – মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পাশ পড়ুয়াদের জন্য “ভগবত গীতা স্কলারশিপ” চালু করা হয়েছে।